ব্লগিং টিউটোরিয়াল এর ৪র্থ দিন বা পার্ট ৪ (Google AdSense Approval)

ব্লগিং টিউটোরিয়াল এর ৪র্থ দিন বা পার্ট ৪

হয়তো এই কনটেন্ট এর মাধ্যমেই আমি ব্লগিং এর শেষ পার্ট লিখবো। আগের সবগুলো পার্ট থেকে যতটুকু শিখেছেন বা বুঝেছেন তা আমার মনে হয় প্রাথমিক ধারণার জন্য যথেস্ট হবে। 

আমি কম কথায় সবগুলো ছোট ছোট বিষয় আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তবে আপনারা প্রত্যেকটি লাইন বুঝে বুঝে পড়ে নিজের ব্লগ সাইটে লিখবেন। 


আশা করবো কাজে আসবে। তবে তারপরেও কিছু বিষয় আছে যা হয়তো আপনার বুঝে আসবে না বা আপনি সমস্যা ফেস করবেন। সেজন্য আপনি নিজেই চেষ্টা করবেন বা সমস্যাগুলো গ্রুপে পোস্ট করবেন আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করার চেষ্টা করা যাবে। 


শেষ ধাপে যেসব বিষয় লক্ষ্য রাখবেন তার একটি শর্ট লিস্ট। 

(ক) কমপ্লিট অন পেজ এসইও সাথে অপ পেজ এসইও। 

(খ) আর্টিকেল লিখার নিয়ম। 

(গ) আর্টিকেল শেয়ার বা কনটেন্ট মার্কেটিং 

(ঘ) ব্যকলিংক তৈরি করা। 

(ঙ) অ্যাডসেন্স এর আবেদনের আগে চেক করা। 

(চ) আবেদন করার পর যা যা করণীয়। 

(ছ) সমস্যা সংক্রান্ত কিছু বিষয় বা প্রশ্ন এবং উত্তর। 

উপরের ৭টি পয়েন্ট থাকবে  এই অংশে। আর এর মধ্যে দিয়েই আমি সাধারণ ব্লগিং টিউটোরিয়াল শেষ করার চেষ্টা করবো। তবে আরও কিছু বিষয় যা পরবর্তীতে সময় পেলে আলোচনা করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। 

(ক) কমপ্লিট অন পেজ এসইও সাথে অপ পেজ এসইও

অন পেজ এসইও আমি আসলে লিখে বোঝাতে পারবো না পুরো বিষয়টা। কারণ এটা নিয়েই একটা আর্টিকেল লিখা যাবে লিখতে চাইলে। 


উপরের লিংকটিতে আপনি মোটামুটি একটা ধারণা পাবেন কি কি বিষয় গুরুত্ব দিবেন আর কিভাবে অনপেজ এসইও করবেন। 

তবে অপপেজ আমি লিখলেও আপনি অনপেজটার বেশি গুরুত্ব দিবেন শুরুতে বা অ্যাডসেন্স আবেদন করার আগে। যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন তাহলে Rank Math প্লাগইন ব্যবহার করলে আপনার অনপেজ এসইও টা অনেক সহজেই করতে পারবেন।  এবং চেষ্টা করবেন ৮০% এর উপরে রাখার স্কোর। 

(খ) আর্টিকেল লিখার নিয়ম

কনটেন্ট বা আর্টিকেল একটি ব্লগ ওয়েবসাইটের অন্যতম একটি বিষয়। এজন্য আপনাকে অবশ্যই অনেক বেশি জ্ঞান রাখতে হবে এবং কীওয়ার্ড রিসার্চ করে কনটেন্ট লিখতে হবে। 


একটি কনটেন্ট বা আর্টিকেল লিখার সময় কি কি বিষয় লক্ষ্য রাখবেন তার একটি শর্ট লিস্ট আমি উপরের লিংকটিতে দিয়ে দিয়েছি। আশা করবো আপনি সেখান থেকে ভালো ধারণা পাবেন। তবে শেষে আমি আবারও বলি যে, কীওয়ার্ড রিসার্চ করে আর্টিকেল লিখবেন। 
  

(গ) আর্টিকেল শেয়ার বা কনটেন্ট মার্কেটিং

বিষয়টা আমি সহজেই বলি। যেমন, আপনি ফেসবুকে একটি পেজ তৈরি করবেন সেই ব্লগের নামে। ফেসবুক ছাড়াও আপনি টুইটারসহ আরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার আর্টিকেলটি লিখার পর শেয়ার করতে পারেন। 

শেয়ার করার পর কেউ পড়তেও পারে আবার নাও পড়তে পারেন। আপনার কাজ শেয়ার করা শুধু। আবার কোন ব্লগ রিলেটেড গ্রুপে কেউ কোন সমস্যায় পড়লে আপনি সেই সংক্রান্ত আর্টিকেল লিখে থাকলে তাতে ইনবক্স করে দিতে পারেন। এতে করেও আপনি কিছু ভিজিটর বা রেফারেল ভিজিটর পাবেন শুরুতে। 

তবে কমপক্ষে একটি পেজ এবং সেই পেজে আপনার ডোমেইন এর নামটা ‍যুক্ত করে রাখবেন। 


(ঘ) ব্যকলিংক তৈরি করা

কিভাবে ব্যকলিংক করবেন সেটা আমি বলতেছি না। এটা আপনি নিজেই চেষ্টা করে শিখবেন। তবে আমার মতে ভালো কোন সাইট থেকে কমপক্ষে ১টা বা ২টা ব্যকলিংক নিবেন। 

প্রয়োজনে কনটেন্ট লিখে দিয়ে হলেও নিবেন। আমার মনে আছে আমার সাইটে ফ্রিতে কনটেন্ট লিখে দিয়ে একটা বা দুইটা করে লিংক নিতো অনেকেই। পরে সেই সব সাইটগুলো দ্রুত অ্যাডসেন্স অপ্রুভাল পেতো। যদিও সবাই না সামান্য সংখ্যক এরকম কাজ করতো আগে। 

ব্যকলিংক আপনার সাইটের গুরুত্ব বহন করে থাকে গুগলের কাছে। তাই চেষ্টা করবেন কিছু হলেও ব্যকলিংক তৈরি করার। 

(ঙ) অ্যাডসেন্স এর আবেদনের আগে চেক করা

যারা অভিজ্ঞ তাদেরকে আপনি আপনার ব্লগ সাইটটা দেখিয়ে চেক করে নিতে পারেন। এতে করে শুরুতে আপনি একটা গাইডলাইন পাবেন। 


আবার উপরের লিংকটিতে ক্লিক করলে আপনি কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমেই চেক করে নিতে পারবেন সেই পদ্ধতি দেখানো আছে। পিকচার সহ আমি দেখিয়ে দিয়েছি কিভাবে চেক করবেন। 

(চ) আবেদন করার পর যা যা করণীয়

আবেদন করার পর আপনি চেষ্টা করবেন প্রতিদিন একটা করে পোস্ট করার বা আগের পোস্ট ইডিট করার। তাতে করে গুগল আপনার সাইটের প্রতি ভালো ধারণা রাখবেন এবং প্রতিদিন ক্রল করার সময় কিছু না কিছু আপডেট পাবে। 

আর প্রতিদিন কিছু ভিজিটর আসে যেন সেই বিষয়টাও লক্ষ্য রাখবেন। তবে আপনি কিছু ট্যাগ ও রেফারেল ভিজিটর নিতে পারেন বিভিন্ন মাধ্যমে শেয়ার করে গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করার মাধ্যমে। অর্থ্যৎ আবেদন করার পর গুগল যেন অপ্রুভাল দেয় সেই বিষয়টা মাথায় রেখে সাইটটা আপডেট করবেন এবং নিয়মিত পোস্ট করা বা ইডিট করবেন। 

লক্ষ্য রাখবেন সাইটে ৫-৬টা ক্যাটাগেরি এবং প্রতিটি ক্যাটাগেরিতে ৫-৬টা করে পোস্ট এবং পেজগুলো সঠিকমত লিখা আছে কিনা। সাইটের লগো এবং কিছু ইন্টারনাল ও আউটগোয়িং লিংক করা আছে কিনা। আমার মনে হয় উপরের বা আগের টিউটোরিয়ালগুলো পড়লে আপনি যথেষ্ট ভালো ধারণা পাবেন আর সমস্যাগুলোও বুঝতে পারবেন। 

(ছ) সমস্যা সংক্রান্ত কিছু বিষয় বা প্রশ্ন এবং উত্তর

কিছু সমস্যা হতে পারে। তারমধ্যে অন্যতম লো ভ্যালু আসা এবং পলিসি ইস্যু আসা। তবে হতাশ হবে না। আর উপরের টিউটোরিয়ালগুলো আবারও রিভিও করুন। কোনটা মিস করেছেন কিনা বা কোনটা সমস্যা মনে হচ্ছে কিনা। 

আসলে আমি আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে যতটুকু জানি সেটাই শেয়ার করেছি। তারপরেও আমারও কিছু বিষয় বা জিনিস অজানা থাকতে পারেন তবে আমি জেনারেল বা সাধারণ কিছু নিয়ম বা করা উচিত হিসেবেই শেয়ার করেছি। 



উপরের দুইটা সমস্যা কমন সমস্যা। আমি আমার জানা মতে কি কি করণীয় তা লিখে দিয়েছি লিংকদুইটাতে। তারপরেও আপনার উপরের কাজগুলো করার পর সমস্যা মনে হলে আমাাকে জানাতে পারেন। 

আমি যদিও ব্যস্ত থাকি তবে চেষ্টা করবো সময় করে দেখে নিজের মতামত বা সঠিক কোন সমাধান জানা থাকলে জানাতে। আমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য আপনি ডিজিটাল আইটি সেবা আইডিতে ম্যাসেজ করে রাখতে পারেন অথবা গ্রুপে পোস্ট করতে পারেন। 

প্রথম প্রকাশিত হয় = ২৩ই এপ্রিল ২০২৩ সাল 

Post a Comment

Previous Post Next Post